আজকাল এক ধরণের বিষণ্ণতায় ভুগছি। কোনো কিছুই ঠিক আগের মতো নেই। যেই আনন্দ নিয়ে আমরা সময়গুলো কাটিয়ে এসেছি, সেই আনন্দগুলো এখন স্মৃতি হয়ে আছে শুধু। আর স্মৃতি এমন এক অনুভূতি সেটা সবসময়ই বেদনাদায়ক। মানুষের গুরুত্ব বোধহয় দূরত্ব ছাড়া ঠিক বোঝা যায় না। অনেকক্ষেত্রেই এই অনুভূতি ঘুরে ফিরে এসেছে। এই যেমন আজ রেডিও শুনছি, হঠাৎ করে হাসানের একটা গান শুনতেই মনে হলো, আচ্ছা হাসান কোথায় আছেন এখন?
হাসান মানে আর্ক ব্যান্ডের সেই কিংবদন্তি হাসান। খুব অদ্ভুত লাগে, মানুষটার গান প্রায়ই শুনি কিন্তু এখন খেয়াল করলাম তাকে আগের মতো দেখি না কোথাও। পরক্ষণেই মনে পড়ে গেল, কৈশোরের আরেক প্রিয় শিল্পী বিপ্লবের কথা। প্রমিথিউসের বিপ্লব। প্রমিথিউস এক গ্রিক দেবতার নাম, গ্রিক পুরাণ অনুসারে তিনি আগুণের দেবতা। সেই দেবতার নামে বিপ্লবের ব্যান্ড প্রমিথিউস তো ব্যান্ড সঙ্গীতের স্বর্গদিনগুলোতে গান দিয়েই আগুণ ছড়িয়েছিল অল্পবয়সী মানুষের মনে। কোথায় এখন এই মানুষগুলো?
১৯৮৬ সালের কথা। সেই বছর বিপ্লব শুরু করেছিলেন প্রমিথিউস ব্যান্ড দল। প্রথম থেকেই নিজের একটা স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করেছিলেন তিনি। আমার মনে আছে, বিটিভিতে যখন বিপ্লবকে দেখতাম, অন্য কিছু না তার বেশভূষার জন্যই তাকে আলাদা করে মনে ধরেছিল। ঢিলেঢালা একটা আলখাল্লা টাইপের পোষাক পড়তেন, চোখে চশমা, লম্বা চুল নাচিয়ে নাচিয়ে গান গাইতেন তিনি। দেখতে ভীষণ অন্যরকম লাগত তাকে, এটাই তাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করেছে। কত হিট গান আছে তার, তার গানের কথাগুলোও একটু ব্যতিক্রমই। গানের ভাষাকে কখনো এক ধারায় আটকে রাখেননি৷ কখনো শুদ্ধ লিরিক, কখনো একদম কথ্যরীতির ভাষা প্রয়োগ করেই গান বানাতেন তিনি, চলতোও খুব। তার গান শুনে মজা পেত মানুষ, চান্দের বাত্তির কসম দিয়া গানটা এখনো কোথাও বাজলে মানুষ কি ভীষণ আমোদিত হয়।
ব্যান্ড হিসেবে আর্কের শুরু আরেকটু পরে। ১৯৯১ সালে। চাইম ব্যান্ড থেকে বেরিয়ে গুণী মিউজিশিয়ান আশিকুজ্জামান টুলু সে বছর শুরু করেছিলেন আর্ক ব্যান্ডটি। প্রথম দিকে অবশ্য ছিলেন না, এই ব্যান্ড দিয়েই মানুষের অন্তরে পৌঁছে যাওয়া শিল্পী হাসান৷ তিনি যোগ দিয়েছিলেন আর্কের প্রথম অ্যালবাম রিলিজ হওয়ার পর। বন্ধু পঞ্চম তাকে পরিচয় করিয়ে দেন আশিকুজ্জামান টুলুর সাথে। তিনিই হাসানকে সুযোগ দেন ব্যান্ডে। ব্যান্ডের বেশ কিছু সদস্য চলে যাওয়ায় হাসান আসবার পর নতুন একটা লাইনআপ দাঁড়ায়। এই নতুন লাইনআপ ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করে তাজমহল অ্যালবামটি। রিলিজের পর পরই যেন একটা ঝড়ের সৃষ্টি হলো। তুমুল ভালবাসার জোয়ারে ভাসলো আর্কের তাজমহল অ্যালবাম। পাড়া মহল্লায় সব জায়গায় বাজতে থাকলো দিনের পর দিন এই গানগুলো।
বিখ্যাত ‘সুইটি’ গান যা হাসান প্রায় সব লাইভ শোতেই গেয়ে থাকেন, এই গানটি ছিল সেই তাজমহল অ্যালবামের। সেই নব্বুই দশকটা তো ব্যান্ডদলগুলোর এক সোনালী সময়৷ সেই সময়ে আর্ক যেন নতুন মাত্রা যোগ করলো। আর লোকে অবাক হয়ে পরিচিত হলো এক অসাধারণ প্রতিভা হাসানের সাথে। হাই পিচে তিনি যতটা দূর্দান্ত ভোকাল, একই সাথে লো পিচেও অতটাই মোলায়েম। এই অদ্ভুত কম্বিনেশনের ভোকাল বাংলাদেশ খুব একটা পায়নি। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, হাসানের মধ্যে অনেকে মাইকেল জ্যাকসনের একটা প্রভাব আবিষ্কার করলো। তিনি যে ভঙ্গিতে গান গান, তার পোষাক, লম্বা কালো চুল, মাথায় কালো হ্যাট, চোখে কাল চশমা সব মিলিয়ে একটা মিল খোঁজার চেষ্টা অমূলকও নয়। হাসান বেশ ভাল ইংরেজি গানও গাইতেন। এমনকি, আর্ক ব্যান্ডের তাজমহল এলবাম রিলিজের আগে তিনি ইংরেজি গানই কভার করে বেড়াতেন বিভিন্ন শোয়ে৷ তিনিও নিজেও মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত, তবে তিনি নিজেকে স্বতন্ত্রই ভাবেন।
হাসানের পুরো নাম সৈয়দ হাসানুর রহমান। গানের তালিম নেননি কোথাও তবুও তাকে বলা হয় তিনিই নাকি বাংলাদেশের সেই বিরল ভোকালিস্ট যিনি ছয়টা স্কেলে গান গাইতে পারতেন। তার গান আশ্চর্যজনকভাবে কলকাতায়ও ভীষণ জনপ্রিয় হয়৷ কলকাতার তরুণ অনেক গানের দল হাসানের গান কাভার করেছে কত শোতে তার কোনো হিসাব নেই। হাসানের ‘অভিমান নয়, কিছুটা অভিযোগ নিয়ে…’ গানটা কলকাতায় অনেক চলেছে সেইসময়। এমন উন্মাদনা একজন বাংলাদেশি শিল্পীকে নিয়ে হবে, সেটা কে ভেবেছে কবে।
নব্বুই দশকের শেষদিকে হাসানের জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে, তিনি সেই সময় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিল্পী ছিলেন। সেই সময় আইয়ুব বাচ্চু, জেমসের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতো হাসানের গান। এমনই মধুর একটা প্রতিযোগিতা ছিল ব্যান্ডগুলোর মধ্যে।
আমাদের শৈশব কতটা সুন্দর ছিল এখন বুঝি খানিকটা। এখন অনুভব করি কি অবর্ণনীয় ভয়ানক সুন্দর ছিল সময়গুলো। ঈদের সময়গুলোর কথা মনে পড়ে। আমাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ডিশের লাইন ছিল না। শুধু বিটিভিই দেখা হতো। আর কপালটাও ভাল যে, বিটিভির বোধহয় সেরা সেরা অনুষ্ঠানগুলো তখনই দেখে ফেলেছি আমরা।
ঈদের সময়টা ছিল ভীষণ আরাধ্য, প্রথমত ইত্যাদি অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব হত। আরো একটা ব্যাপার ছিল। শুধু ব্যান্ড দলগুলো নিয়েই গানের শো হতো তখন। গান কতটাই বা বুঝতাম, কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ব্যান্ডগুলোর বিচিত্রতা, ভিন্নতা খুব মনে লাগত। একেকটা দলের একেকটা ধরণ। এখন এত কিছু আছে, আগের সেই টানটা আর নেই। এখন সবাই আছে, নেই ছোটবেলা মাতানো হাসান, বিপ্লবেরা। তারা আছেন হয়ত, কিন্তু খানিকটা অন্তরালের মানুষ হয়ে গেছেন। এখন কোথাও দেখি না তাদের। শুধু প্লেলিস্টে তাদের কিছু গান আছে, মধ্যরাতের অস্থিরতায় এই গানগুলোই কেবল থেকে যায়।
বাংলাদেশের ব্যান্ড দলগুলোর প্রায় প্রত্যেকটা ভাঙ্গা গড়ার পর্বের মধ্য দিয়ে গেছে। অনেক ব্যান্ডের সদস্যরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততায় গানের জগত থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অস্থিরতায় মাঝখানে একটা দীর্ঘসময় গানের লাইনে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এই সময়েই অনেক চেনা মুখ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করে। তাদের আর আগের মতো দেখা যায় না। ব্যান্ড সঙ্গীতেও ভাটার টান এসে পড়ে। ২০০২ সালের পর যেমন আর্ক বলতে গেলে দৃশ্যপট থেকে হারিয়েই যায়। ২০১০ সাল পর্যন্ত এই ব্যান্ডের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
আশিকুজ্জামান টুলু বিদেশ পাড়ি দেয়ার পর ব্যান্ডের দায়িত্ব পুরোপুরি এসে পড়ে তরুন শিল্পী হাসান আর লিড গিটারিস্ট পঞ্চমের কাঁধে। কিন্তু তাদের মধ্যে খানিকটা বিরোধের তৈরি হলে ২০০২ এর সেই সময়ে দুইজনই ব্যান্ড ছেড়ে দেন। হাসান ‘স্বাধীনতা’ নামে নতুন একটা ব্যান্ড গড়েন। তবে হাসান আবার ফিরে আসেন আর্কে, ২০১০ সালে। তারপর অ্যালবামের কাজ ধরেছেন, স্টেজ শো করেছেন কিছু কিন্তু তবুও আর্কের আগের সেই ক্রেজ চোখে পড়ে না৷ পুরনো গানগুলোই এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরে আসে। এখনো বিষণ্ণ হয়ে উদাসী তরুণ সেই নব্বুই দশকে গাওয়া হাসানের ‘যা রে উড়ে যা, পাখি ঘরে ফিরে যা..’ গায়।
হাসানের মতোই বিপ্লবও যেন হারিয়ে গেছেন, নিভৃতে ছিলেন দীর্ঘদিন। গানের মাধ্যমে তিনি কতই না আনন্দ দিয়েছেন, তার লিরিকগুলো শুনে মন উচাটন হয়েছে অজান্তেই কতবার। “হায় আল্লাহ কেমন প্রেম রে..” বলে বিপ্লব যখন টান দেন, সেই কণ্ঠ এখনো কানে বাজে। “স্বর্নালী ভোরে, নির্জন শালবনে, চাঁদ সাজালো…” কত চমৎকার গান ছিল একেকটা।
“চার পাঁচটা গোলাপ দিলে
ভালোবাসা হয় না!
চোখের মাঝে চোখ রাখলে
ভালোবাসা হয় না।
পাশাপাশি হয়ে পথ হাটলে
ভালোবাসা হয় না।
শোন মিনাক্ষী?”
“তোমার চোখের উদাসী আকাশে,,,বুনোহাঁস একজোড়া….
তোমার মাঝে সপ্ন লুকায়,,,কবি কবিতা ছড়া….
তোমার আকাশে ভালবাসা দিল,,,লক্ষ লক্ষ তারা…
তুমি আমার মাঝে ডুব দিয়ে দেখ,,, আমি বন্ধু হারা..”
“ভাড়া করা শেরওয়ানি পড়িয়া
তিন চাক্কার ভ্যানে চড়িয়া
লাল মিয়া মনের সুখে বিয়া করতে যায়
হায় হায় যৌতুক নেবে বলে বরযাত্রী সাজায়..”
“দেবদারু ফেলেছে শুভ্রছায়ায় ,
মহুয়া তার সাথে দিয়েছে সাড়ায়।
বসন্তের দিনগুলো নেচে গেয়ে যায়,
তুমি আমি রবো শুধু দু’জনায়।”
কি সরল, সহজ লিরিক ছিল তার। রাজনৈতিক গানও আছে তার৷ নূর হোসেন, শহীদ মিলনকে নিয়েও গান গেয়েছেন তিনি৷ আঠারোটা এলবাম বের হয়েছিল বিপ্লবের প্রমিথিউস ব্যান্ডের। তার নিজেরও একক এলবাম আছে প্রায় দশটার মতো। সেই তিনিও একসময় হারিয়ে গেলেন। কোনো খোঁজ নেই তার কোথাও। তিনি নিজেও একসময় পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে।
গানের জগতের অস্থিরতা তাকেও ছুঁয়ে গেছে। গান যেভাবে পাইরেসি করা শুরু হলো, মিউজিশিয়ানরা গান করে যখন কিছু পাচ্ছিলো না, তখন অনেক মিউজিশিয়ানই আড়ালে চলে যান। বিপ্লবও পাইরেসির যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে দূরে সরে যান।
আশির দশকে শুরু হয়েছিল প্রমিথিউস৷ সেইসময়ের বিপ্লবের সাথে আজকের বিপ্লবকে মেলানোই যায় না। সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় তার ছবি দেখলাম। সেই লম্বা ঝাঁকড়া চুল নেই এখন আর। চুল ফেলে দিয়েছেন একেবারেই। শুনেছি হজ্জ্বও করে এসেছেন। মাঝখানে কথা উঠেছিল আর গানই গাইবেন না তিনি৷
হাসানকেও নিয়েও গুজব উঠেছিল, তিনি দুরারোগ্য পারকিনসন রোগে আক্রান্ত। এই খবরগুলো ভীষণ হার্ট ব্রেকিং আমাদের জন্য৷ যদিও আশার কথা হচ্ছে হাসান নিজেই জানিয়েছেন তিনি সুস্থ আছেন। অচিরেই গানে ফিরবেন। এলবাম প্রকাশ করবেন। আশার কথা শুনিয়েছেন বিপ্লবও৷ নতুন এলবাম নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
বিপ্লব স্যোশাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, “নিন্দুকের কথায় প্রমিথিউসের কিছু যায়-আসে না। চিন্তা করবেন না প্রিয় ভক্তরা, আমরা খুব তাড়াতাড়িই ফিরছি।”
হাসানও গান ছেড়ে দিয়েছেন এমন একটি কথা চাউর হয়েছিল। তবে এইবছরই এক সাক্ষাতকারে হাসান জানিয়েছেন, তিনি হারিয়ে যাননি। ফিরে আসছেন। বলেছেন, “আসলে গান আমি ছাড়িনি। হয়তো নতুন কোনো গান করছি না। কিন্তু গানের সঙ্গেই আছি। আমি একটা ধারা নিয়ে কাজ করেছি। যেটা আর্ক ব্যান্ডের মাধ্যমে হয়েছিল। এখনকার যুগে শ্রোতা চাহিদা অনেক পরিবর্তন। মিউজিক বিশ্বও এখন অনেক এগিয়ে গেছে। গানও কিন্তু সেভাবে তাল মিলিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার কথা আমাদের দেশে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ৯০ দশকের সেই ব্যান্ড সঙ্গীতের ধারাটা আমরা আর ফিরিয়ে আনতে পারিনি। এখন আমার মনে হচ্ছে কিছু একটা করা উচিত। এমন কিছু করব যা দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেবে। সে জন্য অনেকদিন ধরে কাজ করছি। অনেক নতুন কিছু শিখছি। শ্রোতাদের নতুন কিছু দেয়ার সময় এসেছে। শিগগিরই শ্রোতারা আমার গান পাবে।”
বিপ্লবও নতুন করে গান নিয়ে তার স্বপ্নের কথা শোনালেন। প্রেস কনফারেন্স করে তাদের নতুন প্রজেক্ট নিয়ে ধারণা দেবেন শ্রোতাদের। ১২টি গান নিয়ে নতুন এলবাম প্রকাশের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, “আমরা এখনো বুড়িয়ে যাইনি। আমরা সামনে আরো কিছু ভালো কাজ করার চেষ্টা করব। আর আমার শেষ ইচ্ছা হচ্ছে এই দেশে একটি মিউজিকের স্কুল করার এবং আমাদের মিউজিক বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা।”
ক্যাসেটের যুগ নেই আজ। ক্যাসেটের ফিতা জট লেগে আছে শৈশবের স্মৃতিবিভ্রাটে। সিডির যুগও নেই৷ সিডি ঘুরে কিন্তু সিডি কিনে গান শুনার মানুষ কই এখন আর। তাই ক্যাসেট, সিডি নিয়ে যেমন এখন ক্রেজ নেই, নেই সেই যুগের সেই শিল্পীরাও। হাসান, বিপ্লব আমাদের শৈশবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের জন্য আনন্দের কথা তারা এখনো বেঁচে আছেন, শুধু তাই নয় এখনো বাংলা গানকে, বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতকে অনেক কিছু দেয়ার আছে তাদের। তাই, তাদের হারিয়ে যাওয়া আমাদের পোড়ায় অনেক। তারা যেমন আশাবাদ শোনালেন ফিরে আসার, তেমনটা হলে নাইন্টিজ কিডদের চেয়ে বেশি খুশি আর কে হবে! ফিরে আসুন, হাসান-বিপ্লব, হারিয়ে যাবেন না৷ হারিয়ে যাওয়া জরুরি খবর হোক, চাই না।
লেখা ঃ ডি সাইফ
Tags:
Entertainment