Galpa Holeo Satyi (গল্প হলেও সত্যি) 1966, রবি ঘোষ, তপন সিনহা || Comedic Bengali Film


প্রাথমিক মুক্তির সালঃ : ১৩ অক্টোবর, ১৯৬৬ (ভারত)
কাহিনী ও পরিচালনাঃ তপন সিনহা (Tapan Sinha)
সঙ্গীত রচনা করেছেন: তপন সিনহা
গল্পঃ তপন সিনহা
চিত্রনাট্য: তপন সিনহা, শ্যামল গুপ্ত 

অভিনয়ঃ 
ভানু বন্দোপাধ্যায়, যোগেশ চট্টোপাধ্যায়, ভারতী দেবী, ছায়া দেবী, অজয় গঙ্গোপাধ্যায়, বঙ্কিম ঘোষ, রবি ঘোষ, পার্থ মুখোপাধ্যায়, প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত

ধনঞ্জজয়ী: রবি ঘোষ, বাবাঃ জোগেশ চট্টোপাধ্যায়, বারোখোকঃ প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বারোবাও: শ্যাম দেবী, সেজোখাখাঃ বঙ্কিম ঘোষ, Sejobou: ভারতী দেবী, ছটখোখাঃ ভানু বন্দোপাধ্যায়, খোকাঃ অজয় গাঙ্গুলি, বসঃ রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চোরঃ চিন্ময় রা, কৃষ্ণঃ কৃষ্ণ বসু, আলকঃ পার্থ মুখার্জি

Galpa Holeo Satyi (Bengali: গল্প হলেও সত্যি) তপন সিংহ পরিচালিত 1966 সালের একটি কমিকিক বাংলা চলচ্চিত্র। এতে ভানু ব্যানার্জী, জোগেশ চ্যাটার্জী, ভারতী দেবী, চান দেবী, আজজয় গঙ্গুলী, রবি ঘোষ, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে এই চলচ্চিত্রটি হিন্দিতে বাভারচি নামে পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল, যার শিরোনাম রাজেশ খান্নাকে শিরোনাম ভূমিকাতে অভিনয় করা হয়েছিল, যা তামিলকে সাময়লকারণ হিসাবে পুনরুজ্জীবিত করেছিল এবং কান্নাড়ায় দুবার সাকাল কলা ভাল্লা এবং 73 নং, শান্তি নিবাস


একটি নতুন দাস অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা থেকে ভুগছেন একটি পরিবার। নতুন চাকর, যার স্বীকৃতি নিজেই সন্দেহের মধ্যে রয়েছে, ধীরে ধীরে পুরোনো অসুস্থ পরিবারের প্রধান সহ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য প্রীতিজনক হয়ে ওঠে। এই গল্পটি কীভাবে তাদের জীবনের নতুন মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অর্থ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ পরিবারগুলির সুখ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। 

বিশৃঙ্খল এক যৌথ পরিবারে অযাচিতভাবে এসে উপস্থিত হয় এক চাকর। ফিরিয়ে দেয় পুরো পরিবারের শান্তি। বদলে দেয় পরিবারের সবার জীবন।


তপন সিনহা পরিচালিত গল্প হলেও সত্যি বাংলা মজার ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। যার মুখ্য চরিত্রে ছিলেন বাংলার প্রবাদ প্রতিম চিত্রভিনেতা রবি ঘোষ। এই ছবিটি ভারতীয় চলচিত্রে সারা ফেলে দিয়েছিলো। রবি ঘোষ এই চলচিত্রের মাধ্যমে এক অন্যতম অভিনেতার আসনে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। হাস্য রসের পরিপূর্ণ এই ছবিটিতে তৎকালীন সমাজের একান্ন বর্তী পরিবারের সু ও কেউ গুন্ গুলো হাসির মোড়কে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল না, আর এই কাজ এ অভিনেতা রবি ঘোষ যথোপযুক্ত ভাবে নিজেকে সঠিক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিলেন।


হাস্যকৌতুকের আরেক রাজা রবি ঘোষ:

রবি ঘোষ (১৯৩১ – ১৯৯৭) বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে তিনি সবচেয়ে পরিচিত তার হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে তাকে নিয়মিত অভিনয় করতে দেখা গেছে। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি বাংলা নাট্যমঞ্চ এবং টেলিভিশন তথা ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত গুপী গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রে বাঘা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন।বাংলা চলচিত্রের নবজাগরণের এক অন্যতম চির স্মরণীয় অভিনেতা রবি ঘোষ। শুধুমাত্র হাস্যকৌতুকের জন্যই যে চিরপরিচিত ছিলেন তা নয়, বরঞ্চ সর্বরকমের অভিনয়ের পারদর্শিতার শিখর ছুঁয়ে ছিলেন। তিনি ২৪শে নভেম্বর, ১৯৩১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার। ১৯৪৯ সালে তিনি সাউথ সুবর্ধন মেইন স্কুলথেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ইন্টারপাস করে তিনি আশুতোষ কলেজ-এ ভর্তি হন, গ্রাজ্যুয়েশনের জন্য। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত তিনি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কাজ করেন। তিনি অভিনেত্রী অনুভা গুপ্তকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর দশ বছর পর তিনি ২৪শে নভেম্বর, ১৯৮২ সালে বৈশাখী দেবীকে বিয়ে করেন। রবি ঘোষ উচ্চতায় খাটো হলেও তার অভিনয়ের দক্ষতায় এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যান তিনি। তথাকথিত সুপুরুষ হিসেবে বিবেচিত না হলেও রুপালি পর্দায় তার নিজ স্মরণীয় উপস্থিতি সকলের মন আজও জড়িয়ে আছে। রবি ঘোষের অভিনয়ের বৈশিষ্ঠতাই ছিল হাস্যরসের মাধ্যমে সামাজিক রূঢ় বাস্তবিক ঘটনাগুলিকে দর্শক কুলের সামনে উপস্থাপন করা। তৎকালীন তার মতো স্বকীয় অভিনেতা জুড়ি মেলা ভার। তার অভিনয়ের আন্তরিকতা ও সংবেদহনশীলতা প্রতিটি চরিত্র কে নিজ নিজ আঙ্গিকে নিজ নিজ রূপ প্রদান করেন, আর এই জন্যেই রবি ঘোষ হাস্যরসের দুনিয়ায় এক নতুন স্বরলিপি তৈরী করে যান। রবি ঘোষ সেই সাত এর দশক থেকে আজও আট থেকে আসি সকলের পরিচিত। নিচে তার অসাধারণ কিছু ছায়াছবি
Previous Post Next Post