গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার ১১ দিন পর তরুণের মৃত্যু





রাজধানীর ভাটারা এলাকার কয়েকজন ছেলে মারধর করায় অপমানে গলা ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) মারা যান। পেশায় দিনমজুর এই তরুণের নাম ইয়াসিন (১৮)। গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা থানার খিলবাড়ীরটেক এলাকায় পাওনা টাকার জন্য ইয়াসিনকে মারধর করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। ভাটারা থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুস শুকুর মৃতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, গত ৩১ আগস্ট এলাকার ছেলেপেলেরা তাকে মারধর করে। পরে ইয়াসিন বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে পরে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

মৃতের ভগ্নিপতি আনোয়ার জানান, এলাকার এক ছেলে ইয়াসিনের কাছে কিছু টাকা পেতো। এই টাকার জন্যে ওই ছেলেসহ বেশ কয়েকজন তাকে আটক করে। ইয়াসিন তাদের বাসায় আসতে বলে। বাসায় আসার পর টাকা দেওয়া সত্ত্বেও ওই ছেলেরা তাকে মারধর করে। এতে অপমানিত হয়ে সে গলায় ফাঁস দেয়।
ইয়াসিন খিলবাড়ীরটেকের বিহারি গলিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
Previous Post Next Post