ফারিয়ার বাংলা গান Pataka (পটাকা) আর ইউটিউবে ডিসলাইক আর সমালোচনার রেকর্ড

নুসরাত ফারিয়ার গান"পটাকা"র মুল পোস্টের বা ইউটিউব থাম্বনেইল 
ডিসলাইকের ভারে নুয়ে পড়েছে ইউটিউব এর ভিডিও গান। সমালোচনা, নিন্দা, গালাগালি আর অশ্লীল কমেন্ট সবকিছু মিলিয়ে একটি গানের ঘাড় মটকে দিয়েছে লাখো দর্শক। লাইক-ডিসলাইকের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেছে ডিসলাইক। দর্শকের কমেন্টগুলো যদি শিল্পীর নজরে আসে, তাহলে চিরজীবনের জন্য শিল্পীর শিল্পী হওয়ার শখ মিটে যাবে এ বেপারে কন সন্দেহ নাই। বলা হচ্ছে নায়িকা থেকে গায়িকার তকমা লাগানো নুসরাত ফারিয়ার গানের কথা।

নুসরাত ফারিয়া একজন মডেল, উপস্থাপক এবং অভিনেত্রী। এছাড়া নাচে তার ভালো দখল আছে সেটাও অজানা নয়। সম্প্রতি একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি জমকালো উৎসবের মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় নুসরাত ফারিয়ার গাওয়া গান-ভিডিও ‘পটাকা’। ২৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাত ঠিক ৮টায় গানটির ভিডিও উন্মুক্ত করা হয় সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

গত ২৬ এপ্রিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার গাওয়া ‘পটাকা’ শিরোনামে গানের ভিডিও। প্রীতম হাসানের সুর ও সংগীতে গানের কথা লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল। মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ভারতের বাবা যাদব। গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এতে মডেল হয়েছেন ফারিয়া নিজেই।

নুসরাত ফারিয়ার গান "পটাকা" ইউটিউব এ লাইক এর চেয়ে ডিসলাইকের পরিমান বেশি   

তবে যতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে গানটি রিলিজ দিয়েছে ফারিয়া, সেই মত সাফল্য পাননি তিনি। বরং গানটি প্রকাশের গত তিন দিনে তিনি ডিসলাইক ও তিরস্কারের বাণে জর্জরিত। মিউজিক ভিডিওতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাইক পড়েছে ৮ হাজার আর তার বিপরীতে ডিসলাইকের সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি । বাংলাদেশি গানের ক্ষেত্রে এটিই সর্বপ্রথম লাইকের চেয়ে বেশি ডিসলাইকের গৌরব বা রেকর্ড অর্জন করেছে। অতীতে কোনো গানে এমন নেতিবাচক কমেন্টস বা ডিসলাইক দেখা যায়নি। অনেকেই বলছেন ইউটিউবে একাউন্ট না থাকলে লাইক/ ডিজ লাইক দেওয়া যায়না , কিন্তু ভিউ করা যায়। অনেকেই একাউন্ট ছাড়া মোবাইল দিয়ে গানটি দেখেছে, সেক্ষেত্রে ডিজ লাইকের পরিমান আরো বাড়তে পারতো।

আর গালাগালি আর সমালোচনমূলক কমেন্ট তো আছেই। কেউ তার পোশাকের সমালোচনা করছেন তো কেউ গানের কথা ও মিউজিকের নিন্দা করছেন। তবে শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন ফারিয়া সিনেমাতেই ভালো সহসাই চর্চা ছাড়া গানের জগতে আসাটা ক্যারিয়ারের জন্য সাংঘর্ষিক।

তবে এথেকে এক্তা বিষয় পরিষ্কার, ইউটিউবে দর্শক কখন কোন জিনিসকে কিভাবে নেয় তা বলা মুশকিল তারই একটা উদাহরণ ফারিয়ার বাংলা গান ‘পটাকা’ । এখান থেকে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যা আমাদের সমাজের বা কমিউনিটির জন্য উপযোগী নয় তা বানাতে গেলে অযথাই অর্থ-সম্মান নষ্ট হবে। কোন কনটেন্ট বানাতে গেলে তার টার্গেট অডিয়েন্স কারা সেটা চিন্তা করে বানাতে হবে। গানটি বাংলাদেশের একজন আর্টিষ্টকে দিয়ে বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভারতীয় কায়দায় বানানোর কারণেই ফ্লপ। সেই একই অর্থ খরচ করে বাংলাদেশের উপযোগী করে তৈরী করা হলে নি:সন্দেহে সুপারহিট কিছু হতে পারতো। 
Previous Post Next Post